Saturday, February 28, 2015

২১ শে ফেব্রুয়ারী মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক ভাষা দিবস

আজ ২১ শে ফেব্রুয়ারী মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক ভাষা দিবস উপলক্ষে রাঙ্গামাটি কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে তাঁর প্রতিনিধির মাধ্যমে ফুলের শ্রদ্ধাঞ্জলী দিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন সংসদ সদস্য শ্রী ঊষাতন তালুকদার এম.পি ।

মত বিনিময় সভা এবং দুঃস্থ, দৃষ্টি প্রতিবন্ধীদের মাঝে শীতবস্ত্র ও সাদাছড়ি বিতরণ



রাঙ্গামাটি সদর উপজেলা পরিষদ কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত দুঃস্থ এবং দৃষ্টি প্রতিবন্ধীদের মাঝে শীতবস্ত্র ও সাদাছড়ি বিতরণ অনুষ্ঠানে সম্মানিত ও বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংসদ সদস্য শ্রী ঊষাতন তালুকদার এম.পি মহোদয় এবং সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য বেগম ফিরোজা বেগম (চিনু) এম.পি মহোদয় ।
গত ২৫ জানুয়ারী ২০১৫ ইং তারিখে উপজেলা পরিষদ ও বেসরকারী স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সহযোগীতায় রাঙ্গামাটি সদর উপজেলা প্রশাসন এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে । উক্ত অনুষ্ঠানে রাঙ্গামাটি জেলার বিভিন্ন উপজেলা,ইউনিয়ন ও গ্রাম পর্যায়ের চেয়ারম্যান,ভাইস চেয়ারম্যান,হ্যাডম্যান,কার্বারী ও কতোয়ালী থানার ও.সি সহ অন্যান্য গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন । তাঁরা তাঁদের নিজ নিজ এলাকার বিভিন্ন সমস্যার কথা তুলে ধরেন । বিশেষ করে, কাপ্তাই,বালুখালী ও বন্দুকভাঙ্গা ইউনিয়নের বিদ্যুতায়ন ও রাঙ্গামাটি জেলায় রিভার এ্যাম্বুল্যান্স (River Ambulance) -এর প্রয়োজনের কথা এই মত বিনিময় সভায় উঠে আসে । ২৯৯,পার্বত্য রাঙ্গামাটি -র নির্বাচিত সাংসদ শ্রী ঊষাতন তালুকদার এম.পি বলেন, মহিলা সাংসদ বেগম ফিরোজা বেগম (চিনু) র সাথে বিভিন্ন ক্ষেত্রে মতাদর্শের মিল না থাকলেও এলাকার উন্নয়নের ক্ষেত্রে দুই সাংসদ মিলে পরস্পরের প্রতি বিশ্বাস ও আস্থা গড়ে তুলতে হবে এবং একসাথে কাজ করে এলাকার উন্নয়ন কতে হবে । রাংগামাটির যেসমস্ত এলাকায় বিদ্যুৎ নেই সেখানে দ্রুত বিদ্যুতায়নের জন্য বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয়ে ইতিমধ্যে আলাপ করেছেন এবং আশ্বাস পেয়েছেন বলেও তিনি জানান । তাছাড়াও রাঙ্গামাটিতে কোস্টগার্ড এবং নৌ-পুলিশ মোতায়নের জন্যও কাজ করছেন । এবং গত কয়েকদিন আগে পাবলিক হেলথ এলাকায় আগুনে পুড়ে যাওয়া ৬৫ পরিবারকে চাউল,কম্বল,টিন ও আর্থিক সহযোগিতা এবং বোগাছড়ি,বাঘাইছড়ি ও নানিয়ারচড় এলাকায় কম্বল ও চাল প্রদান করেছেন বলেও তিনি উল্ল্যেখ করেন । এছাড়াও জনগণের সু-স্বাস্থ্য্য ও কৃষকদের উন্নত ফসল উৎপাদনে উন্নতমানের সার,বীজ ও কৃষি সরন্জাম ইত্যাদি এবং প্রয়োজনানুসারে যথাস্থা‍ানে স্বাস্থ্য্য কম্প্লেকস নির্মাণ নিশ্চিত করতে তিনি স্বস্থ্য্য মন্ত্রণালয় ও কৃষি মন্ত্রণালয়ে গিয়েছেন এবং সর্বাধিক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন বলে উক্ত মতবিনিময় সভায় বলেন । সবশেষে তিনি সবার মাঝে নেতৃত্বের মাধ্যমে ভ্রাতৃত্বভাব গড়ে তুলে এই ২১ বিংশ শতাব্দীতে সহাবস্থানে থেকে “আপ ভালা তো জগৎ ভালা “ এই প্রবাদ বাক্যটিকে অনুসরন করে চলার আহ্বান জানান ।সাংসদ ঊষাতন তালুকদার ,সাংসদ বেগম ফিরোজা বেগম (চিনু ),রাংগামাটি সদর উপজেলার চেয়ারম্যান বাবু অরুন কান্তি চাকমা সহ সবাই মিলে দুঃস্থ, দৃষ্টি প্রতিবন্ধীদের মাঝে শীতবস্ত্র ও সাদাছড়ি বিতরণ করেন ।





আদিবাসী ভাষাই একটি পাঠ্যপুস্তকও হয়নি

http://epaper.prothom-alo.com/home/singleArticle/2015_03_01_17_10_b

মোনঘরের ৪০ -বর্ষপূর্তি উপলক্ষে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান ও প্রতিষ্ঠাতাদের সম্মাননা



মোনঘরের ৪০ -বর্ষপূর্তি উপলক্ষে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান ও প্রতিষ্ঠাতাদের সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে এম.পি মহোদয় কর্তৃক বেলুন উড়িয়ে শুভ উদ্বোধন......



 আজ ১৬ই জানুয়ারী ২০১৫ ইংরেজী রোজ শুক্রবার । আজকের সকালটি ছিল একটু কুয়াশাচ্ছন্ন আর তারই মাঝে শুরু হল ঝিড়ি ঝিড়ি বৃষ্টি । প্রকৃতির এই মনোরম পরিবেশে মোনঘর মাঠ প্রাঙ্গণে সকাল ৯:০০ টার দিকে শুরু হল মোনঘরের ৪০ বছর পূর্তিতে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান ও প্রতিষ্ঠাতাদের সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠান । অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন মোনঘর আবাসিক বিদ্যালয়ের সাধারন সম্পাদক এবং প্রাক্তন ছাত্র শ্রী কির্তী নিশান চাকমা । তিনি চারটি ভাষায় (চাকমা,বাংলা,ইংরেজী এবং ফরাসী) অনুষ্ঠানটি সুন্দরভাবে পরিচালনা করেন । প্রথমেই অনুষ্ঠানে সমবেত সবাই একত্রে বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত পরিবেশন করেন । তারপর আমাদের অতি মনোরম ঐতিহ্যবাহী একটি গান “তুরু তুরু তুরুরু..বাজি বজাত্তে......পাড়ায় পাড়ায় বেরেবং বেক্কুন মিলিনেই…...”এই গানের সুর বাজিয়ে বেলুন উড়িয়ে অনুষ্ঠানের শুভ উদ্বোধন করেন উক্ত অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি মাননীয় সংসদ সদস্য শ্রী ঊষাতন তালুকদার এম.পি মেহোদয় ।

 অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জনাব আবুল কালাম আজাদ,পুলিশ সুপার (ভারপ্রাপ্ত),রাঙ্গামাটি জনাব সাইফুল ইসলাম চৌধুরী, মেয়র, রাঙ্গামাটি পৌরসভা এবং মোনঘর আবাসিক বিদ্যালয়ের সভাপতি বাবু সুকুমার দেওয়ান । মোনঘর আবাসিক বিদ্যালয়ের মিক্ষক-শিক্ষিকা মন্ডলী,বর্তমান ও প্রাক্তন ছাত্র-ছত্রী বৃন্দ এবং অভিভাকবৃন্দ । এছাড়াও মোনঘর আবাসিক বিদ্যালয়কে সহায়তাপ্রদানকারী বিভিন্ন দেশ থেকে আগত বিশেষ অতিথিবৃন্দ । তাদেঁর মধ্যে সবচেয়ে আকর্ষনীয় ব্যক্তি হলেন মি.পিয়াকমাসেন (ফরাসী) যিনি আজ থেকে প্রায় ৩৮ বছর আগে মোনঘরের সহায়তার জন্য হাত বাড়িয়ে দেন এবং আজ অবধি সহায়তা করে যাচ্ছেন । অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন জনাব আবুল কালাম আজাদ,জনাব সাইফুল ইসলাম চৌধুরী,মোনঘর প্রতিষ্ঠাতা শ্রীমৎ জ্ঞানশ্রী মহাথের ,মি.সুকুমার দে্ওয়ান এবং শ্রী উষাতন তালুকদার এম.পি মহোদয় । শ্রীমৎ জ্ঞানশ্রী মহাথের মহোদয়কে সম্মাননা প্রদান করেন শ্রী ঊষাতন তালুকদার এবং মোনঘরের সভাপতি বাবু সুকুমার দেওয়ানকে সম্মাননা প্রদান করেন মেয়র জনাব সাইফুল ইসলাম চৌধুরী । শ্রী ঊষাতন তালুকদার তাঁর কক্তব্যে মোনঘরের সফলতার পেছনে ভূমিকা পালনকারীদের ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা জানান । তিনি কুসংস্কার,ভূল চিন্তা-ভাবনা ইত্যাদি ত্যাগ করে জ্ঞানের আলোয় আলোকিত হ্ওয়ার আহ্ববান জানান ।আর মোনঘরের উজ্বল ভবিষ্যৎ ও উত্তরোত্তর শ্রীবৃদ্ধি এবং সাফল্য কামনা করে এবং ফ্রান্স থেকে আগত মোনঘরকে প্রাণ প্রদানকারী সেই মহৎ ব্যক্তিত্ব মি.পিয়াকমাসেন সহ অন্যান্য ব্যক্তিদেরকে মোনঘরকে পুণঃ পুণঃ সহায়তা প্রদানের জন্য অনুরোধ করার পাশাপাশি আবারও সবাইকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করে তাঁর মূল্যবান বক্তব্য শেষ করেন ।






বাঘাইছড়িতে কাচালং উচ্চ বিদ্যালয়ের নির্মিতব্য ভবনের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন


গত ২৭ ডিসেম্বর ২০১৪ ইং তারিখে সকাল দশ ঘটিকায় কাচালং উচ্চ বিদ্যালয়ের নির্মিতব্য ভবনের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেন সংসদ সদস্য শ্রী ঊষাতন তালুকদার । নির্মিতব্য ভবনের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন শেষে বিদ্যালয় মিলনায়তনে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয় । আলোচনা সভায় প্রধান অথিতি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ঊষাতন তালুকদার এম.পি মহোদয় ।
তিনি লেখাপড়ার পাশাপাশি খেলাধুলা,সংস্কৃতি ও শিক্ষার মান উন্নয়নের উপর বিশেষ গুরুত্বারোপ করেন । এবং বিদ্যালয় উন্নয়নে প্রয়োজনীয় সহযোগিতার আশ্বাস দেন । এছাড়া্ও এলাকার সার্বিক বিষয় সহ বালিকা বিদ্যালয়ের উন্নয়নে গুরুত্বারোপ করে বক্তব্য রাখেন কাচালং উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ভদ্রসেন চাকমা । মারিশ্যা ইউনিয়নের প্রাক্তন চেয়ারম্যান ও বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির প্রাক্তন সভাপতি আজিজুর রহমান আজিজ, কাচালং ডিগ্রি কলেজের উপ অধ্যক্ষ দেব প্রসাদ দেওয়ান, বাঘাইছড়ি পৌর মেয়র মোঃ আলমগীর কবির ও বাঘাইছড়ি উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান সুমিতা চাকমা ।এসময় বাঘাইছড়ি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বড়ঋষি চাকমা, ভাইস চেয়ারম্যান দিপ্তিমান চাকমা, বাঘাইছড়ি প্রেসক্লাবের সাধারন সম্পাদক আবদৃল মাবুদকাচালং ডিগ্রী কলেজের প্রভাষক লালন বিহারী চাকমা সহ গন্যমান্য ব্যক্তিবগর্গ, শিক্ষকমন্ডলী ও শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন ।

এই প্রথম কোন এম.পি তাদের সুখ দুঃখের খবর নিতে তাঁদের এলাকায়





গত ২৭ ডিসেম্বর ২০১৪ ইং তারিখ বাঘাইছড়ি উপজেলার উগলছড়ি গ্রামে শ্রী ঊষাতন তালুকদার এম.পি মহোদয় গ্রামবাসীদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করেন ।কম্বল বিতরণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাঘাইছড়ি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বড়ঋষি চাকমা , বাঘাইছড়ি পৌর মেয়র মোঃ আলমগীর কবির এবং আরো অন্যান্য গণ্যমান্য ব্রক্তিবর্গ । কম্বল পেয়ে সবাই খুশী হন এবং সাধুবাদ জানান । তাঁরা আরো বলেন যে, এই প্রথম কোন এম.পি তাদের সুখ দুঃখের খবর নিতে তাঁদের এলাকায় যান ।

পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি বাম্তবায়নের মাধ্যমে পাহাড়ে শান্তি প্রতিষ্ঠা


১৯৯৭ সালের ০২ ডিসেম্বর গণপ্রজাতণ্ত্রী বাংলাদেশ সরকার ও পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির মধ্যে ঐতিহাসিক পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছিল পার্বত্য চট্টগ্রাম সমস্যাকে রাজনৈতিক ও শান্তিপূর্ণ উপায়ে সমাধানের উদ্দেশ্যেই। এই চুক্তি স্বাক্ষরের মধ্য দিয়ে সকল পার্বত্যবাসী স্বপ্ন দেখেছিল পার্বত্য চট্টগ্রামে শান্তি ও স্থিতিশীলতা ফিরে পাওয়ার । চুক্তি বাস্তবায়নের পদক্ষেপ হিসেবে পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ ও তিন পার্বত্য জেলা পরিষদের মাধ্যমে বিশেষ শাসনব্যবস্থা প্রবর্তনের মধ্য দিয়ে এই পার্বত্য এলাকার মানুষের তথা পাহাড়ী-বঙালী স্থায়ী অধিবাসীদের শাসনতান্ত্রিক অংশীদারিত্ব প্রতিষ্ঠার আশা করা হয়েছিল । কিন্তু অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় যে, চুক্তি স্বাক্ষরের ১৭ বছর অতিক্রম হয়ে যাওয়ার পরেও পার্বত্য চুক্তি যথাযথভাবে বাস্তবায়ন না হওয়ার কারণে আজ অবধি পার্বত্যবাসীর সেই শাসনতান্ত্রিক অংশীদারিত্ব যেমনি নিশ্চিত হয়নি,তেমনি অর্জিত হয়নি পার্বত্য চট্টগ্রাম সমস্যার সেই কাঙ্খিত রাজনৈতিক ও শান্তিপূর্ণ সমাধান । যার কারণে পাহাড়ের কোণে কোণে প্রতিনিয়ত বইছে নীরব কান্না যে কান্নার আওয়াজ চেপে রাখা হয়েছে কোন না কোন কৌশল অবলম্বন করে ।

১৬ ডিসেম্বর ২০১৪ ইং তারিখে ৪৪তম মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে রাঙ্গামাটি স্টেডিয়ামে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে














১৬ ডিসেম্বর ২০১৪ ইং তারিখে ৪৪তম মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে রাঙ্গামাটি স্টেডিয়ামে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে সাংসদ ঊষাতন তালুকদার এবং অন্যান্য ব্যক্তিবর্গ ।







সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ও সুষম উন্নয়নের মধ্য দিয়ে পার্বত্য এলাকায় শান্তি প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন



পার্বত্য অঞ্চলে বিদ্যমান সমস্যাগুলোর মধ্যে অন্যতম একটি বড় সমস্যা হল সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা-হাঙ্গামা । অনেকদিন থেকে চলে আসা এই সমস্যা নিরসনকল্পে বতর্মান সাংসদ ঊষাতন তালুকদার অত্যন্ত আন্তরিকতার সাথে কাজ করে যাচ্ছেন ।তিনি সকল সম্প্রদায়ের মধ্যে শান্তি, সম্প্রীতি ও ভ্রাতৃত্বভাব গড়ে তুলতে সদা সচেষ্ট । তার দৃঢ় বিশ্বাস যে,যদি অসাম্প্রদায়িক চেতনা সকলের মধ্যে জেগে উঠে তাহলে পার্বত্য চট্টগ্রামের চলমান সাম্প্রদায়িক সমস্যা অনেকাংশে লঘু হয়ে আসবে ।তিনি এই সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির চেতনা উন্নয়ের পাশাপাশি অন্যান্য সকল উন্নয়নও সাধন করার জন্য অত্যন্ত দৃঢ়তার সহিত কাজ করে যাচ্ছেন ।
রাঙ্গামাটি জেলার সদর,উপজেলা ও ইউনিয়ন সকল পর্যায়ে যাতায়াত ব্যবস্হা, শিক্ষা ব্যবস্হা ও চিকিৎসা ব্যবস্হার যথাযত উন্নয়ন তাঁর একান্ত লক্ষ ও উদ্দেশ্য । তাই তিনি যথাস্হানে রাস্তাঘাট,সেতু ও কালভার্ট ইত্যাদি নির্মাণ করবেন ।আর সবার জন্য সুশিক্ষা ও সুচিকিৎসা এবং প্রযুক্তির অগ্রগতি নিশ্চিত করতে উন্নতমানের স্কুল,কলেজ,স্বাস্হ্য-কেন্দ্র ও হাসপাতাল নির্মাণ যথাসময়ে করা হবে ।সবোর্পরি তিনি রাঙ্গামাটি শহরের এবং এই এলাকার জনগণের সর্বপ্রকার উন্নয়ন সাধন করে আধুনিক বিশ্বের সাথে এগিয়ে চলার জন্য যুগোপযোগী করে গড়ে তুলবেন ।আর এসকল উন্নয়নের পরিকল্পনাকে বাস্তবায়ন করার জন্য এলাকাবাসীর আন্তরিক সহেযাগীতা সদা কাম্য ।

পাবত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক মানবাধিকার স‌‌‍‌ম্মেলন ২০১৪

বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন রাঙ্গামাটি জেলা কমিটি কর্তৃক আয়োজিত "পার্বত্য আঞ্চলিক মানবাধিকার সম্মেলন ২০১৪" অনুষ্ঠানে প্রধান অথিতি হিসেবে উপস্হিত ছিলেন সাংসদ শ্রী ঊষাতন তালুকদার । অনুষ্ঠানে প্রথমে বক্তব্য রাখেন মহিলা সাংসদ ফিরোজা বেগম চিনু ।তিনি মানবাধিকার সম্পর্কে কথা বলেন এবং অতীত,বর্তমান এবং আগামীতেও মানুষের অধিকার রক্ষার জন্য কাজ করে যাবেন বলে আশ্বস দেন ।তারপর বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন রাঙ্গামাটি জেলার সাধারণ সম্পাদক তপন বড়ুয় তার মূল্যবান বক্তব্য পেশ করেন ।বিজয় রতন দে যিনি দীর্ঘকাল থেকে মানবাধিকার নিয়ে ক্জ করে আসেছেন,পার্বত্য শান্তি চুক্তি বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে দুই সাংসদ চিনু এবং ঊষাতন তালুকদার মহোদয়ের উভয়ের মধ্যে পরস্পর সহযোগীতামূলক ও বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আছে বলে মন্তব্য করার পাশাপাশি চুক্তি বাস্তবায়নের জন্য একসাথে কাজ করার আহ্বান জানান এবং মানুষের অধিকার রক্ষার্থে কাজ করতে উপস্হিত সকলকে আহ্বান করেন ।এছাড়াও অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন বান্দরবান জেলার সভাপতি মিস ধনাইপ্রু মিলি,রাঙ্গামাটি জেলার সভাপতি ডা:সুপ্রিয় বড়ুয়া,বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন জাতীয় কমিটির সভাপতি ড:সাইফুল ইসলাম দিলদার এবং ঊষাতন তালুকদার এম.পি ।"মুখের কথায় সম্প্রীতিকে সীমাবদ্ধ না রেখে অন্তর থেকে সম্প্রীতিকে উন্নয়ন করা উচিত" বলে তিনি মন্তব্য করার পাশাপাশি সবার জন্য সুখ,শান্তি এবং উন্নতি কামনা করে মানব অধিকার সম্পর্কে সচেতন হয়ে সৎ সাহস নিয়ে মানবাধিকার রক্ষার্থে কাজ করার জন্য সকলকে আহ্বান জানান ।

পরিষ্কার-পরিচ্ছসন্ন ও মাদকমুক্ত রাঙ্গামাটি

গত ০৫ জানুয়ারী ২০১৩ ইং তারিখে অনুষ্ঠিত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে অংশগ্রহণ করে সবোর্চ্চ ভোট (৯৬,২৩৭) পেয়ে শ্রী ঊষাতন তালুকদার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন । তিনি রাঙ্গামাটি শহরের সার্বিক উন্নয়নের লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছেন । বিশেষ করে রাঙ্গামাটি শহরকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন ও মাদকমুক্ত করে রাখতে তিনি প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন । এই শহরের পরিবেশকে সুন্দর,মনোরম ও আকর্ষণীয় করে গড়ে তুলতে তিনি সর্বদা চেষ্টা করে যাচ্ছেন । তাছাড়াও বর্তমানে মাদকদ্রব্য সেবন বেড়ে যাওয়ার ফলে সেখানকার যুবসমাজের অনেকেই বিপথগামী হয়ে পড়েছে । তাই মাদকদ্রব্যকে সমূলে উৎখাত করার জন্য তিনি মাদকবিরোধী আন্দোলন গড়ে তুলবেন । সর্বোপরি, সুশৃঙ্খল,শান্তিপূর্ণ ও উন্নত রাঙ্গামাটি শহর তিনি উপহার দিতে চান ।এই কার্যক্রমগুলো বাস্তবায়ন করতে সকল রাঙ্গামাটি বাসীর আন্তরিক সহযোগীতা কামনা করেন ।