থন জানিয়েছে এবং সময়সূচি ভিত্তিক কর্মপরিকল্পনা (রোডম্যাপ) ঘোষণার মধ্য দিয়ে পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তির দ্রুত ও যথাযথ বাস্তবায়নের জন্য বাংলাদেশ সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে।
৪ জুলাই ২০১৫ পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির তথ্য ও প্রচার সম্পাদক মঙ্গল কুমার চাকমার স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয় যে, ২-৪ জুলাই ২০১৫ তিনদিন ব্যাপী ইউএনপিও-র সাধারণ পরিষদের ১২তম অধিবেশন বেলজিয়ামের রাজধানী ব্রাসেলস-এ অনুষ্ঠিত হয়। ইউএনপিও-র ৪৬টি প্রতিনিধিত্বহীন জাতি (নেশন) ও জাতিগোষ্ঠীর (পিপলস) সদস্যদের মধ্যে ৩২টি জাতি ও জাতিগোষ্ঠীর প্রায় ৪৫ জন প্রতিনিধি এই ১২তম অধিবেশনে অংশগ্রহণ করেন। পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকে পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির সহ সভাপতি ও সংসদ সদস্য উষাতন তালুকদার, তথ্য ও প্রচার সম্পাদক মঙ্গল কুমার চাকমা এবং মানবাধিকার কর্মী (সিএইচটি ফাউন্ডেশন) কৃষ্ণ আর চাকমা উক্ত সম্মেলনে যোগদান করেন।
উক্ত অধিবেশনে পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ ও তিন পার্বত্য জেলা পরিষদে বিষয় হস্তান্তর ও কার্যকরকরণ, পার্বত্য চট্টগ্রাম ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশন আইন ২০০১-এর বিরোধাত্মক ধারা সংশোধন পূর্বক ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি, অপারেশন উত্তরণসহ সকল অস্থায়ী ক্যাম্প প্রত্যাহার, সেটেলার বাঙালীদের পার্বত্য চট্টগ্রামের বাইরে সম্মানজনক পুনর্বাসনের দাবি জানানো হয়। সম্মেলনে পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি বাস্তবায়ন এবং পার্বত্য চট্টগ্রামের জনগোষ্ঠীর উন্নয়নের জন্য সহায়তা প্রদানের জন্য জাতিসংঘ, ইউােপীয় ইউনিয়ন ও আন্তর্জাতিক সম্পদায়ের আহ্বান জানানো হয়। ২০১১ সালে জাতিসংঘের আদিবাসী বিষয়ক স্থায়ী ফোরামের ১১তম অধিবেশনে গৃহীত সুপারিশ বাস্তবায়নেরও আহ্বান জানানো হয়। বাংলাদেশের উপর ২০১৩ সালে ইউপিআরের অধিবেশনে সরকার কর্তৃক প্রদত্ত প্রতিশ্রুতি অনুসারে সম্মেলনে নারী ও কণ্যাশিশুসহ পার্বত্য চট্টগ্রামের জুম্ম জনগোষ্ঠীর ন্যায়বিচার নিশ্চিত করারও আহ্বান জানানো হয়।
উক্ত অধিবেশনে ইউএনপি-এর ১১-সদস্য-বিশিষ্ট নতুন প্রেসিডেন্সী কমিটি গঠিত হয়। প্রেসিডেন্ট হিসেবে নাসের বোলাদাই (ইরানের ‘বালুচিস্তান পিপলস পার্টির’ আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের প্রতিনিধি) এবং ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে আবদিরাহমান মাহদি (সোমালিয়ার ‘ওগাদেন ন্যাশনাল লিবারেশন ফ্রন্টের’ আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক) নির্বাচিত হন। সম্মেলনের শুরুতে নতুন ৯টি সদস্যের আবেদন অনুমোদন করা হয় এবং ইউএনপিও-র সংবিধানে তাদের স্বাক্ষর, নতুন সদস্যদের পতাকা ও ইউএনপিও-র পতাকা বিনিময়ের মাধ্যমে নতুন সদস্যদের গ্রহণ করা হয়।
সম্মেলনে শেষ দিনে সম্মেলনের ১২টি সুপারিশ সম্বলিত জেনারেল রেজুরেশন সর্বসম্মতিক্রমে গ্রহণ করা হয়। উক্ত রেজুলেশনে অপ্রতিনিধিত্বশীল জাতি ও জাতিগোষ্ঠীর মানবিক নিরাপত্তা, পরিবেশ, অর্থনৈতিক উন্নয়ন, সামাজিক কল্যাণ ও সংস্কৃতির ক্ষেত্রে যে বৈষম্য ও বঞ্চনার উপর বিশেষ গুরুত্বারোপের জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে আহ্বান জানানো হয়। এছাড়া অপ্রতিনিধিত্শীল জাতি ও জাতিগোষ্ঠীর ভূখন্ডে সরকার কর্তৃক সামরিকায়ন বন্ধ করা, সরকারের পৃষ্ঠপোষকতা বসতিকারী জনসংখ্যা সরিয়ে নেয়া, ভূমি জবরদখল বন্ধ করা এবং বিভিন্ন অঞ্চলে আদিবাসী ও সরকারের মধ্য স্বাক্ষরিত চুক্তি বা সমঝোতা বাস্তবায়নের জন্য আহ্বান জানানো হয়।
৪ জুলাই ২০১৫ পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির তথ্য ও প্রচার সম্পাদক মঙ্গল কুমার চাকমার স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয় যে, ২-৪ জুলাই ২০১৫ তিনদিন ব্যাপী ইউএনপিও-র সাধারণ পরিষদের ১২তম অধিবেশন বেলজিয়ামের রাজধানী ব্রাসেলস-এ অনুষ্ঠিত হয়। ইউএনপিও-র ৪৬টি প্রতিনিধিত্বহীন জাতি (নেশন) ও জাতিগোষ্ঠীর (পিপলস) সদস্যদের মধ্যে ৩২টি জাতি ও জাতিগোষ্ঠীর প্রায় ৪৫ জন প্রতিনিধি এই ১২তম অধিবেশনে অংশগ্রহণ করেন। পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকে পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির সহ সভাপতি ও সংসদ সদস্য উষাতন তালুকদার, তথ্য ও প্রচার সম্পাদক মঙ্গল কুমার চাকমা এবং মানবাধিকার কর্মী (সিএইচটি ফাউন্ডেশন) কৃষ্ণ আর চাকমা উক্ত সম্মেলনে যোগদান করেন।
উক্ত অধিবেশনে পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ ও তিন পার্বত্য জেলা পরিষদে বিষয় হস্তান্তর ও কার্যকরকরণ, পার্বত্য চট্টগ্রাম ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশন আইন ২০০১-এর বিরোধাত্মক ধারা সংশোধন পূর্বক ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি, অপারেশন উত্তরণসহ সকল অস্থায়ী ক্যাম্প প্রত্যাহার, সেটেলার বাঙালীদের পার্বত্য চট্টগ্রামের বাইরে সম্মানজনক পুনর্বাসনের দাবি জানানো হয়। সম্মেলনে পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি বাস্তবায়ন এবং পার্বত্য চট্টগ্রামের জনগোষ্ঠীর উন্নয়নের জন্য সহায়তা প্রদানের জন্য জাতিসংঘ, ইউােপীয় ইউনিয়ন ও আন্তর্জাতিক সম্পদায়ের আহ্বান জানানো হয়। ২০১১ সালে জাতিসংঘের আদিবাসী বিষয়ক স্থায়ী ফোরামের ১১তম অধিবেশনে গৃহীত সুপারিশ বাস্তবায়নেরও আহ্বান জানানো হয়। বাংলাদেশের উপর ২০১৩ সালে ইউপিআরের অধিবেশনে সরকার কর্তৃক প্রদত্ত প্রতিশ্রুতি অনুসারে সম্মেলনে নারী ও কণ্যাশিশুসহ পার্বত্য চট্টগ্রামের জুম্ম জনগোষ্ঠীর ন্যায়বিচার নিশ্চিত করারও আহ্বান জানানো হয়।
উক্ত অধিবেশনে ইউএনপি-এর ১১-সদস্য-বিশিষ্ট নতুন প্রেসিডেন্সী কমিটি গঠিত হয়। প্রেসিডেন্ট হিসেবে নাসের বোলাদাই (ইরানের ‘বালুচিস্তান পিপলস পার্টির’ আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের প্রতিনিধি) এবং ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে আবদিরাহমান মাহদি (সোমালিয়ার ‘ওগাদেন ন্যাশনাল লিবারেশন ফ্রন্টের’ আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক) নির্বাচিত হন। সম্মেলনের শুরুতে নতুন ৯টি সদস্যের আবেদন অনুমোদন করা হয় এবং ইউএনপিও-র সংবিধানে তাদের স্বাক্ষর, নতুন সদস্যদের পতাকা ও ইউএনপিও-র পতাকা বিনিময়ের মাধ্যমে নতুন সদস্যদের গ্রহণ করা হয়।
সম্মেলনে শেষ দিনে সম্মেলনের ১২টি সুপারিশ সম্বলিত জেনারেল রেজুরেশন সর্বসম্মতিক্রমে গ্রহণ করা হয়। উক্ত রেজুলেশনে অপ্রতিনিধিত্বশীল জাতি ও জাতিগোষ্ঠীর মানবিক নিরাপত্তা, পরিবেশ, অর্থনৈতিক উন্নয়ন, সামাজিক কল্যাণ ও সংস্কৃতির ক্ষেত্রে যে বৈষম্য ও বঞ্চনার উপর বিশেষ গুরুত্বারোপের জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে আহ্বান জানানো হয়। এছাড়া অপ্রতিনিধিত্শীল জাতি ও জাতিগোষ্ঠীর ভূখন্ডে সরকার কর্তৃক সামরিকায়ন বন্ধ করা, সরকারের পৃষ্ঠপোষকতা বসতিকারী জনসংখ্যা সরিয়ে নেয়া, ভূমি জবরদখল বন্ধ করা এবং বিভিন্ন অঞ্চলে আদিবাসী ও সরকারের মধ্য স্বাক্ষরিত চুক্তি বা সমঝোতা বাস্তবায়নের জন্য আহ্বান জানানো হয়।
No comments:
Post a Comment