বর্তমানে আমাদের সমাজে মাদকের সেবন ব্যাপক হারে বেড়ে গেছে । যার ফলে যুব
সমাজের অনেকেই বিপথে পরিচালিত হচ্ছে । ২৯৯ পার্বত্য রাঙ্গামাটির সাংসদ শ্রী
ঊষাতন তালুকদারের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কার্যক্রমের মধ্যে অন্যতম একটি হচ্ছে
রাঙ্গামাটি বাসীন্দাদের মাঝে মাদকের অপকারিতা ও বিভিন্ন ক্ষতিকারক দিকগুলো সম্পর্কে জনসচেতনতা বৃদ্ধি করে মাদকবিরোধী আন্দোলন গড়ে তোলার মাধ্যমে এই শহরকে একটি মাদকমুক্ত শহর হিসেবে গড়ে তোলা । শুধু কার্যক্রমই নয় বরং এটা তাঁর মনের মাঝে বহু আগে থেকেই গেঁথে থাকা এক লালিত স্বপ্ন । তারই পরিপ্রেক্ষিতে বাবু ঊষাতন তালুকদারের প্রবল ইচ্ছানুসারে ও তাঁর উদ্যোগে রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসকের মম্মেলন কক্ষে গত ০৯ মার্চ ২০১৫ খ্রী: এক মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয় । উক্ত মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন সুশীল সমাজের বিভিন্ন জ্ঞানী-গুণী ব্যক্তিবর্গ, বিভিন্ন ক্লাবের সভাপতি ও সদস্যবৃন্দ, মাদকদ্রব্য অধিদপ্তরের প্রতিনিধি, বেসরকারী সংস্থার নেতৃবৃন্দ, পুলিশ সুপার, রাঙ্গামাটি মেডিকেল হাসপাতালের সিভিল সার্জন, জেলা প্রশাসক, সাংবাদিকবৃন্দ, সরকারী ও বেসরকারী কর্মকর্তাগণ এবং অন্যান্য গণ্যমান্য ব্যক্তিগণ । প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংসদ সদস্য শ্রী ঊষাতন তালুকদার । তিনি তাঁর বক্তব্যে বলেন - “নতুন প্রজন্ম,যারা এই দেশের ভবিষ্যৎ ,মাদক সেবনের ফলে তারা তাদের নৈতিকতাকে ধ্বংস করে ফেলছে । তাহলে তাদের দিয়ে কিভাবে সোনার বাংলা হবে ? সুতরাং আমরা সবাই সচেতন হয়ে সকলের সম্মিলিত প্রয়াসের মাধ্যমে অধিকতর যত্নসহকারে চেষ্টা করি যেন সবার মাঝে মাদকের বিরুদ্ধে জনসচেতনতা বৃদ্ধি করতে পারি । কারা মাদক উৎপাদন করে?যারা অভাবে আছে,যাদের ভাল শিক্ষা-দীক্ষা নেই,চাকরী-বাকরী নেই,ব্যবসা-বাণিজ্য নেই তারাই মূলত মদ উৎপাদন করে ।সুতরাং বিকল্প কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে হবে । তামাক চাষ আমাদের স্বাস্থ্যের জন্যে ক্ষতিকর । তামাকের পরিবর্তে অন্য ফসল উৎপাদনে কৃষকদের উৎসাহিত করতে হবে ।অভিভাবকেরা তাদের ছেলেমেয়েরা ঠিকমত স্কুল-কলেজে যাচ্ছে কিনা,খাওয়া-দাওয়া করছে কিনা, নাকি কোথাও ঘুরে বেরাচ্ছে ইত্যাদি এসব বিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে । এভাবে আসুন আমরা সবাই মিলে মাদকবিরোধী আন্দোলন গড়ে তুলে আমাদের যুব সমাজকে ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা করে সোনার দেশ বাংলাদেশ গড়ে তুলি ।”
এছাড়াও অনুষ্ঠানে মাল্টিমিডিয়ার মাধ্যমে বিভিন্ন মাদকদ্রব্য যেমন -গাজা,হেরোইন,আফিন,ইয়াবা,ফেনসিডিল ইত্যাদি নেশাদ্রব্যের ক্ষতিকারক দিকগুলো সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয় । সবশেষে রাঙ্গামাটির জেলা প্রশাসক জনাব মো:সামসুল আরেফিন মাদক বিস্তার রোধকল্পে দশ জনের বিশেষ মনিটরিং কমিটি গঠন করা হবে বলে জানান ।
No comments:
Post a Comment