প্রতি বছরের মত এ বছরও আদিবাসীদের ঐতিহ্যবাহী উৎসব বিজু/সাংগ্রাই/বৈসুক/বিষু/বিহু উপলক্ষে আজ ০৪/০৪/২০১৫ ইং রোজ শনিবার রাঙ্গামাটিতে শুরু হল পার্বত্য সাংস্কৃতিক উৎসব ও মেলা ২০১৫। উদ্বোধক ও প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে উক্ত অনুষ্ঠানের শুভ উদ্বোধন করেন সংসদ সদস্য শ্রী ঊষাতন তালুকদার। প্রধান অতিথি তাঁর বক্তব্যে বলেন -প্রতি বছরের ন্যায় এ বছরও আদিবাসীরা তাদের যুগ যুগ ধরে চলে আসা সাংস্কৃতিক উৎসব উদযাপন করছে। চলমান বছরের শেষান্তে ও আগামী বছরের শুরুতে আদিবাসীরা এই ঐতিহ্যবাহী উৎসব বিজু উদযাপন করে থাকে । সুখ-দুঃখ,হাসি-কান্না,আনন্দ-বেদনা সব কিছু নিয়েই একটা মানুষের জীবন । তাই আদিবাসীরা বছরের শেষে সব কিছুর হিসাব-নিকাশ করে,সব ধরনের গ্লানি মুছে আনন্দ উৎসবের মধ্য দিয়েই পুরাতন বছরটাকে বিদায় দিয়ে নতুন বছরটাকে স্বগত জানায় ।প্রত্যেকের বাড়ীতে বাড়ীতে গিয়ে আনন্দ-মুখর পরিবেশে আদর আপ্যায়নের মাধ্যমে এই বিজু উৎসব পালিত হয় । বলি খেলা,পানি খেলার মত বিভিন্ন ধরনের আতদবাসীদের ঐতিহ্যবাহী খেলা-ধূলার আয়োজন করা হয় । তবে পার্বত্য এলাকার পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়ার কারণে একটা মানুষ মন খুলে প্রাণ থুলে হাসতে পারে না,গাইতে পারে না,বলতে পারে না যেমনটি বিজুর সময় আমাদের আদিবাসীরা্ "রেং" দিয়ে থাকে । আর তাই পার্বত্য এলাকায় শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য কাজ করে যাচ্ছি এবং এর জন্য আপনাদেরও সকলে আন্তরিক সহযোগীতা কামনা করছি ।এই ধরনের উৎসব আয়োজন করার ফলে আদিবাসীদের সংস্কৃতি সংরক্ষণ ও মেধা বিকাশের অভিব্যক্তি হয়ে থাকে । যেমন এখানকার এক ছেলের আঁকা ছবিটিকেই UNICEF বেছে নিয়েছিল মনোগ্রাম হিসেবে । যাই হোক, আকের এই অনুষ্ঠান আয়োজন করার জন্য ক্ষুদ্র-নৃ গোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক ইনষ্টিটিউট কর্তৃপক্ষকে এবং উপস্থিত সকলকে ধন্যবাদ জানিয়ে ও সবার সু-স্বাস্থ্য কামনা করে সবাইকে বিজুর আগাম শুভেচ্ছা জানিয়ে আজ এখানেই শেষ করছি ।
এছাড়াও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রাঙ্গামাটির জেলা প্রশাসক মো:সামসুল আরেফিন,রাঙ্গামাটি জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বাবু বৃষকেতু চাকমা এবং উৎসবপ্রিয় আদিবাসী জনতা ।
এছাড়াও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রাঙ্গামাটির জেলা প্রশাসক মো:সামসুল আরেফিন,রাঙ্গামাটি জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বাবু বৃষকেতু চাকমা এবং উৎসবপ্রিয় আদিবাসী জনতা ।
No comments:
Post a Comment